বাস্তব জীবনের ভালোবাসা || Real life love
আজকে দয়া করে সময় নিয়ে কিছু কথা জানুন।সেটা বাস্তব জীবনের কিছু কথা।
জীবনে তো অনেক সময় ইন্টারনেটে ব্যয় হয়েছে। আজ না হয় বাস্তব কিছু শুনে মনে কষ্ট পান।😥
আমি আজ এমন কিছু বস্তব কিছু বলবো যা আমার সাথে ঘটেছে।যানি হয়তো আমার পোস্টটি অনেকের মনে কষ্টের কারন হতে পাবে। কিন্তু এটাও বাস্তব যে আমরা অন্যের কষ্ট দেখতে মজা পাই কিংবা একটু অনুসুচনা করি।আমার গল্প টি একটু ভিন্ন।তাই শুনুন।
আবারও বলি একটু সময় নিয়ে পড়ুন।
আমার সাথে যা ঘটেছে সেটা অনেকের সাথে ঘটেছে বা ঘটতে পারে।
আমি একজন সাধারণ মধ্যবিত্ব ঘরের ছেলে।আমার বয়স যখন ৪/৫ বছর, তখন আমার পরিবার ঢাকা চলে যায়।মা আর বাবা কাজ করে।আমি আর আমার বোন পড়াশোনা করি।
আমার মেধা অনেক ভালো ছিলো তাই স্কুলের এক স্যার নাম তার জনাব মোঃ ইউনুস। তিনি আরো ভালো একটি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।আমার পরিবার সঙ্গে আমি থাকি একটি সেনাবাহিনীর এলাকায়। অনেক সেনা কর্মকর্তা আমাকে অনেক ভালোবাসাতো।
সব কিছু ঠিক মতই চলছে,,,
আমার মা-র শরীর মাঝে মাঝেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়তো।তাই আমরা সবাই গ্রামে চলে আসি।বাবা ঢাকায় ঔখানেই থেকে যায়।
আমি গ্রামে স্কুলে ভর্তি হয়ে যাই। বড় বোনটিও স্কুল পড়তে থাকে।আমার বোন কে দেখে এক ধনীর ছেলে পাগল হয়ে যায়।অনেক পাগলামি করতো।এক সময় দুই পরিবাবের বসে বিয়ে দেয়া হয়।
থাক, এই পর্যন্ত বোন কে নিয়ে।
আজ আমার কথা বলবো।
ঐ যে আমি পড়তেছি তো পড়তেছি।আমার সাথে এক ছেলে প্রতিযোগিতা করে পড়তো। কোন বছর তার রোল ১ আমার ২।আবার কোন বছর আমার রোল ১ ওর ২।
এখনো সব ঠিক চলছে,,, বিন্দাস আছি।
অভাব কি জানতাও না বুঝতামও না।
কিন্তু আমার জীবন সমস্যা তখন হয় যখন আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি।আমি যখন নবম শ্রেণিতে তখন বাবার কাছে Android ফোন কেনার জন্য বায়না ধরি।আমাকে মা বাবা অনেক ভালোবাসতো তাই দেরি না করে ফোন কিনে দেয়।
কিছু দিন ফোন নিয়ে. Busy থাকায় আমার বন্ধু অনেক দুর এগিয়ে যায়।
তাই আমি ফোন বাদ দিয়ে আবার পড়াশোনায় মনোযোগী হই।কিন্তু রাতে একটু করে ফোন চালাতাম।তাও একটু নাটক বা ছবি দেখতাম।ততটা ফোন বুঝতাম না।এখন যেমন Internet ছাড়া কারো চলে না।তখন নেট কি বুঝতাম না।তাও আবার গ্রামে। এক সময়, নবম শ্রেণির মাঝামাঝি সময়ে আমি Imo খুলি।তাও ততটা বুঝতাম না।আমি যতটা কম বুঝতাম তার থেকে কম বুঝতো imo কোম্পানী।
কেন কম বুঝত তা একটু পড়ে বলছি।
internet কিনতাম না এবং imo তে ডুকতাও না।তখন আমার বন্ধুদের হাতে গুনা ৩/৪ জনের ফোন ছিলো।এক দিন বন্ধুরা মিলে ঠিক করি ফোনে ভিডিও কলে কথা বলবো তাই MB কিনি।
তখন থেকেই সমস্যা শুরু টা হয়।
রাত আনুমানিক ৮থেকে ৯টা বাজে। বন্ধুদের সাথে কথা বলা শেষ। তখনি অন্য একটি ফোন আসে। ফোনটা Receive করি, কোন কথা শুনতে পারি না।
আমি Hello,Hello করে ফোন টা কেটে দেই।
imo id নাম টা ছিলো (অ..........)
শুরু হলো sms করা।অনেক কথা হয়।রাগারাগি অনেক করি কথা না বলার জন্য। sms মাঝে আবার call আসে, আমি রেগে ফোনটা কেটে দেই।আবার call আসে।তখন আমি call টা receive করি।
একটি মেয়ের গলা শুনতে পাই।মেয়ে টা রেগে গিয়েছিল আমার উপর।
আমি জীবনে প্রথম ফোনে কোন মেয়ের গলা শুনি।মেয়েটা আমাকে যা ইচ্ছে বললো।আমি কিছু বলতে পারি নাই।শুধু শুনে যাচ্ছি। call কেটে দিলো।আমি মনে মনে ভাবছি ভুলটা আমারি, কারন SMS-এ আমি অনেক কিছু বলেছি।
ভয়ে আর কোন sms বা call দেই নাই।
সকালে প্রাইভেট পড়ে স্কুল চলে যাই।কিন্তু সকালে থেকে অনেক বার মেয়েটাকে মনে পড়।মনে পড়ে তার কথা গুলো।
বন্ধু দের সাথে সেয়ার করি সবকিছু। স্কুলে তো ফোন নেয়া নিষেধ।তা ছাড়াও আমি কোথায় ফোন নিয়ে যেতাম না।তাই বন্ধু দের sms গুলি দেখাতে পারলাম না।
বাড়ি এসেই ফোনটা হাতে নিয়ে imo তে প্রবেশ করি,
দেখি মেয়েটি অনেক কিছু লিখে sms করেছে।সে যে আমাকে বকা বা রাগ করেছিলো সেটার জন্য সে অনেক কিছু বলেছে।
তখন কিছু বলি নাই বা sms reply করি নাই।রাতে আবার sms করি। সে বলে আমার জন্য তার মন খারাপ ছিলো সারাটি দিন।
আমি তাকে মাফ করেছি কি না জানতে চায়। আমি হে বলো দেই।
আমরা একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে যাই।
আগে বলেছিলাম আমার থেকে Imo কোম্পানী বড় বোকা।কারন আমি বা আমরা যারা ফোন কম বুঝতাম তাদের ফোনে কোন অপরিচিত নাম্বার যুক্ত (add) হতো।আগে imo তো একাই অনেক নাম্বার যুক্ত হতো।একা করাটা imo কোম্পানি ঠিক করে নি। সেই মেয়েটির (অ......) নাম্বার আমার জীবনে ১২ টা বাজিয়ে দেয়।
আজ এই পর্যন্ত
দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে খুব দ্রুতই আসবো।
যদি এই পর্যন্ত ভালো লাগে সবাই একটি করে কমেন্ট করুন।
সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন।
✳️আল্লাহ হাফেজ✳️
Tag.ভালোবাসার বাংলা গল্প,real life love bagla.bd.love Story
0 মন্তব্যসমূহ