অঙ্গভঙ্গি দেখে মানুষের মন বোঝার উপায়
চারপাশের মানুষগুলো আপনার সঙ্গে কেমন আচরণ করছে তা বুঝতে হলে তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বা অঙ্গভঙ্গি বুঝতে হবে।
ইউএলসিএ এর প্রফেসর অ্যালবার্ট মেহরাবিন বলেন, আপনার মনে যা আছে তার ৫৫ শতাংশ বোঝা যায় অঙ্গভঙ্গি থেকে,
৩৮ শতাংশের প্রকাশ পায় কণ্ঠ থেকে এবং ৭ শতাংশ বোঝা যায় ভাষার ব্যবহারে।
এখানে সাইকোলজি টুডে এক প্রতিবেদনে মানুষের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝতে ১৪টি উপায়ের কথা জানাচ্ছেন।
১. মেকি হাসি বুঝতে চোখে তাকান
আন্তরিক হাসিতে চোখের নিচে কুঞ্চিত হয়। আর লোক দেখানো মেকি হাসির সময় চোখের নিচে কোনো ভাঁজ পড়ে না।
কাজেই কেউ আপনাকে দেখে হাসলে চোখের ভাব দেখে বুঝবেন তিনি সত্যিই হাসছেন কিনা।
২. ভ্রু ওপরের দিকে ওঠানো অস্বস্তির লক্ষণ
চোখের ওপরের ভ্রু আমরা প্রায়ই ওপরের দিকে তুলি। সাধারণত দুশ্চিন্তা, চমক, অস্বস্তি এবং ভয়ের কারণে মানুষ এমন করে।
৩. কণ্ঠের ওঠা-নামায় আগ্রহের প্রকাশ
কেউ কথা বলার সময় কণ্ঠ থেকে হঠাৎ জোরে বা আস্তে শব্দ বেরুলে বুঝতে হবে বিষয়টি নিয়ে তিনি আগ্রহী।
সাইকোলজি টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, আগ্রহের উদ্রেক করে এমন বিষয় উত্থাপন হলে মেয়েদের কণ্ঠ আরো তীক্ষ্ণ এবং ছেলেদের কণ্ঠ কিছুটা নিচু হয়ে আসে।
৪. দুজন দুজনের আয়না হয়ে ওঠেন
দুজন মানুষ মনোযোগের সঙ্গে কথা বলতে থাকলে তাদের একজনের আচরণ অন্যজন অনুকরণ করেন।
যেমন- কথা বলতে বলতে বন্ধু তার পায়ের ওপর পা রাখলে আপনিও পায়ের ওপর পা রাখবেন। এর অর্থ আপনাদের মধ্যে আন্তযোগাযোগ তৈরি হয়েছে,
জানান পজিটিভ সাইকোলজিস্ট বারবারা ফ্রেডরিকসন।
৫. ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই-ই বোঝায় চোখে চোখ রাখা
কারো চোখে চোখ রাখলে দেহে তার উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়। তবে তা ইতিবাচক না নেতিবাচক তা নির্ভর করে পরিস্থিতি
এবং যারা চোখে চোখ রাখছেন তাদের ওপর। এ কথা বলেন ক্লেয়ারমন্ট ম্যাককেনা কলেজের ওর্গানাইজেশনাল সাইকোলজিস্ট রোনাল্ড ই রিজিও।
দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পরস্পরের চোখে চোখ রাখার অর্থ ভয় ও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। আবার প্রেমিক-প্রেমিকার চোখে চোখ রাখার অর্থ ভালোবাসার আদান-প্রদান।
৬. অতিরিক্ত সময় চোখে চোখ রাখা মিথ্যার লক্ষণ
মিথ্যা বলার সময় সাধারণত মানুষ চোখে চোখ রাখে না। কিন্তু কিছু মিথ্যাবদী রয়েছেন যারা এ কাজটি করতে পারেন।
তবে এ ক্ষেত্রে তারা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে চোখে তাকিয়ে থাকেন। এ সময় তাদের চোখের পলক পড়ে না।
৭. বিশেষ ভঙ্গিমা শক্তি ও অর্জনের প্রকাশ
প্রতিযোগিতায় বড় কোনো বিজয়ের পর জয়ী কেমন ভঙ্গিতে তার বিজয় গৌরব প্রকাশ করেন? এ ধরনের ভঙ্গিমায়
দেহে টেসস্টোরেনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং তা আত্মবিশ্বাস বাড়ায় বলে জানান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যামি কাডি।
এভাবে দুই হাত উঁচু করে বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করা শক্তি ও অর্জনের প্রতীক।
৮. ক্রস করে পা রাখা প্রতিরোধ ও মতের অমিলের প্রকাশ
'হাউ টু রিড আ পারসনস লাইক আ বুক' এর লেখক গেরার্ড আই নিয়েরেনবার্গ এবং হেনরি এইচ ক্যালেরো জানান,
'ক্রস লেগ' হলো একমতে না পৌঁছানো এবং প্রতিরোধের লক্ষণ। এর অর্থ মানুষটি মানসিক, আবেগ এবং দৈহিকভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
৯. বিশেষ অঙ্গভঙ্গি আন্তযোগাযোগের লক্ষণ
আকর্ষণ কোনো বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ পায় না। বরং ধারাবাহিক কয়েকটি অঙ্গভঙ্গি দিয়ে প্রকাশ পায়।
নিউরোসাইকোলজিস্ট মার্শা লুকাস বলেন, কোনো নারী প্রথমে আপনার চোখে চোখ রাখলো এবং পরক্ষণেই নিচে তাকালো।
এর পর চুলে হাত চালিয়ে আবার মাথা তুলে চোখে তাকালো। এ ধরনের অঙ্গভঙ্গির অর্থ তিনি আপনার প্রতি আকর্ষিত হয়েছেন।
১০. আপনার সঙ্গে হাসছেন মানে তিনি ইতিবাচক
কেউ আপনার হাসিতে নিজেও হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। এর অর্থ তিনি আপনার প্রতি আগ্রহী। এভোলুশনারি সাইকোলজিস্টরা বলেন,
মানুষের মানবিক সম্পর্কের উন্নয়নে হাসি অন্যতম সেরা ভূমিকা পালন করে।
পাশাপাশি পারস্পরিক আন্তরিকতা এবং সম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছা শক্তি প্রকাশ পায় হাসির মাধ্যমে।
১১. দৃঢ় মুখ, শক্ত ঘাড় এবং কুঞ্চিত কপাল বিষণ্নতার লক্ষণ
মস্তিষ্কে ঘটে যাওয়া ঘটনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে চেহারায়। এফবিআই কাউন্টারইন্টেলিজেন্সের সাবেক এজেন্ট জো রাভারো জানান,
আবেগ, হুমকির প্রতিক্রিয়া এবং বাঁচার জন্যে লড়াইয়ের মানসিকতা তৈরি আমাদের লিম্বিক সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
কেউ মানসিক চাপে থাকলে তর মুখ দৃঢ় হয়ে থাকে, তার কপার থাকে কুঞ্চিত। এ সবই বিষণ্নতায় ভোগা বা মানসিক চাপে থাকার লক্ষণ।
১২. কর্তৃত্বসুলভ আচরণে নেতৃত্বের প্রকাশ
যখন মানুষ নিজেদের কোনো দলের বা পক্ষের নেতা হিসেবে ভাবতে শুরু করেন বা নেতার আসনে বসেন,
তখন তিনি তার আচরণে নেতার ভাব প্রকাশ করেন। তাদের লক্ষ্যণীয় অঙ্গভঙ্গি, অকপটে কথা বলা, হাত উঁচিয়ে বা বিশেষ ভঙ্গিতে কিছু বলা ইত্যাদি দিয়ে তাদের কর্তৃত্ব প্রকাশ পায়।
১৩. কম্পনশীল মনের প্রকাশ ঘটে পা কাঁপার মাধ্যমে
ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটসের প্রফেসর সুসান হুইটবর্ন বলেন, দেহের সবচেয়ে বড় অংশটি হলো আপনার পা।
মনে অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা, অস্বস্তি এবং ভয় থাকলে পা কাঁপতে পারে।
মেয়েদের মনের কথা বোঝার উপায়
কোনো মেয়েকে হয়তো ছেলেটি খুব পছন্দ করে। কিন্তু বলতে পারেনা। কেউ কেউ আবার পারে।
মেয়েদের গোপন কথা জানার ভাগ্য হয়তো সবার হয় না। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটে মেয়েদের এমন
কিছু গোপন কথা বলা হয়েছে যা জানার আগ্রহ ছেলেদের অনেক বেশি থাকে।
সে কি সিঙ্গেল? কোনো মেয়েকে হয়তো ছেলেটি খুব পছন্দ করে। কয়েকদিন ধরেই বেশ আকর্ষণবোধ করছে তার প্রতি।
মনে মনে নানা পরিকল্পনাও সাজিয়ে ফেলেছে। কিন্তু মেয়েটির একটি বিষয়ে ছেলেটির জানার বেশ আগ্রহ।
আর তা হলো, মেয়েটি সিঙ্গেল কি না। মানে, তার অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক নেই তো?
সে আসলে কী বলতে চাচ্ছে? সরাসরি কথা বলা মেয়েদের ছেলেরা খুবই পছন্দ করে। কিন্তু ছেলেরা এটাও ভালো করে জানে যে,
মেয়েরা যা বলছে তার মধ্যে কিছু লুকানো কথা থাকে। যা ছেলেরা বুঝতে পারে না।
আর ছেলেদের এই বিষয়ে আগ্রহেরও কমতি থাকে না। আসলে সে কী বলতে চাচ্ছে?
এই প্রশ্নটা সবসময়ই ছেলেদের মাথায় ঘোরে। কিন্তু আফসোস, এর উত্তর সহজে তাদের কপালে জোটে না!
কেমন ছেলে তার পছন্দ? ছেলেদের সবচেয়ে বেশি জানার আগ্রহ থাকে এই বিষয়ে। কেমন ছেলে তার পছন্দ?
সে আদৌ আমার মতো ছেলেকে পছন্দ করবে তো? না কি আমাকে ফিরিয়ে দেবে? এই বিষয়টিতে ছেলেদের আগ্রহের পাশাপাশি অস্থিরতাও বেশি কাজ করে।
সে সবসময় কেন দেরি করে? সিনেমা দেখা অথবা রাতে একসঙ্গে বাইরে খাওয়ার পরিকল্পনা থাকুক না
কেন মেয়েরা সবসময়ই দেরি করে। আর ছেলেরা অসহায়ের মতো অপেক্ষা করে। কেন মেয়েরা সবসময় দেরি করে?
এই প্রশ্নের উত্তর কখনো জানতে পারবে না জেনেও ছেলেদের জানার আগ্রহ শেষ হয় না।
মানুষের মন পড়ে ফেলবেন ?
অনেক উপায় আছে যার ফলে বুঝে ফেলা যায় মানুষ কি বলতে চাচ্ছে। কি নিয়ে সে খুব হতাশ। এসব।
এর জন্য খুব কৌশলী হবার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। শুধু কমন সেন্স কাজে লাগিয়ে পুরো ব্যাপারটাই করা যায়।
মানুষের মন পড়ে ফেলার জন্য তার মাথা ছেদ করে মগজে যাবার কোন দরকার নেই। অনেকটা মাইন্ড হ্যাকার যাকে বলে সেটাই করতে হয়।
শারীরিক প্রকাশঃ
মানুষের শরীর তার মনের প্রকাশ করে। চোখ, মুখ , কপাল, হাত এসব অংগ খুব পরিষ্কার আপনাকে জানায় যে কী চাচ্ছে একটি মন।
পড়তে হবে ঠোঁটঃ
একথা কে না জানে, মানুষের চিন্তা কিংবা মন পাল্টানোর সাথে সাথে ঠোঁট এর অবস্থান পালটায়।
সময়জ্ঞানঃ
মানুষের মাঝে আর যা-ই থাকুক সময় নিয়ে একটা চরম ছন্দ আছে। এই যেমন ঘুম থেকে উঠা
, খাবার গ্রহন, কিংবা বাইরে বেরুনো সব কিছুই সময় দিয়ে কাউণ্ট এবং পরিচালনা করে মানুষ।
এই যুগে যিনি একেবারে নিন্মস্তরের কাজ করে জীবিকা চালান তিনিও সময় নিয়ে অনেক কিছু ভাবেন। তাহলে সময় নিয়ে আপনার কমন সেন্স কী দাঁড় করাতে পারছেন?
সহজ একটা উদাহরন হল- এই মুহুর্তে জানতে চান আপনার সামনে বসে থাকা মানুষটি কী করতে চাচ্ছে।
খুব সহজ সময়ের দিকে তাকান, সময় যদি হয় দশটা কুড়ি তাহলে ভাবুন এই মুহুর্তে সাধারন মানুষের কি কাজ থাকে? নিশচয় কেউ খেতে চাইবে না।
পরিবেশঃ
বাসায় একটা মানুষ যেটা করতে চায় বাইরে কিংবা রাস্তা বা পার্কে নিশ্চয় তা করবে না।
এজন্য পরিবেশ দেখে নিন। অনুমান করুন কী দরকার এখানে।
প্রাক্টিসঃ
আরো অনেক ব্যপার আছে যা নিয়ে চর্চা করতে হয় অনেক দিন। একদিন এমন অবাক করা কথা আপনিও
বলে বসবেন যেদিন পাকা মাইন্ড হ্যাকার নিজেই ভড়কে যাবেন।
মুখ দেখে মানুষ চেনার ৭টি উপায়
কথায় আছে মুখই মনের দর্পন। মুখ দেখেই অনেকে বলে দেন আপনি দুঃখিত, চিন্তিত নাকি আনন্দিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের মুখের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে বোঝা যায় তার চরিত্র। আর সেই বৈশিষ্ট্যের উপরে নির্ভর করেই কর্মক্ষেত্রে ইন্টারভিউ নেন এইচ আর।
মনোবিদদের মতে আপনার মুখে কিছু পরিবর্তন দেখে বুঝে নেওয়া যায় মস্তিষ্কে কি চলছে। নিউরোলজিস্টদের এই সূত্র ধরেই মুখের ভাবভঙ্গির পরিবর্তন লক্ষ্য করা হয় বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে।
স্টিভেনের গবেষকদের মতে এরকমই কিছু অজানা তথ্য রইল আপনার জন্য।
১. আত্মবিশ্বাস
স্টিভেনের বিশেষজ্ঞদের মতে যাঁদের মুখ লম্বার তুলনায় ৬০ শতাংশের কম চওড়া তারা পরিস্থিতি বিশেষে সচেতন হন।
আবার যাঁদের মুখ লম্বার তুলনায় অন্তত ৭০ শতাংশ চওড়া তাঁদের মধ্যে জন্মগতভাবেই আত্মবিশ্বাস থাকে।
২. বন্ধুতা
চোখের উপর থেকে ভ্রুয়ের অবস্থানের মধ্যে তফাত দেখে বোঝা যায় সে কতটা আত্মকেন্দ্রিক।
স্টিভেনের মতে যে ব্যক্তির ভ্রু চোখ থেকে যত উপরে তার আত্মকেন্দ্রিকতা তত বেশি। অর্থাৎ সে নিজেকে তত বেশি ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করে।
৩. সহ্য ক্ষমতা
দুটি ভ্রুয়ের মধ্যে তফাত দেখে বোঝা যায় তার সহ্য ক্ষমতা কেমন। স্টিভেনের বিশেষজ্ঞদের মতে দুটি ভ্রুয়ের মধ্যে যত বেশি তফাত থাকে তার সহ্য ক্ষমতা তত বেশি।
৪. হাস্যরস
উপরের ঠোঁট এবং নাকের দূরত্ব দেখে আন্দাজ করা যায় কার হাস্যরস কেমন। এই দূরত্ব যার যত বেশি তার মধ্যে হাস্যরসও বেশি।
এই দূরত্ব কম হলে তার রসিকতা ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৫. মহত্ব
স্টিভেনের বিশেষজ্ঞরা বলেন উপরের ঠোঁট যত বেশি মোটা হয় তার কথায় ও আচরণে ততই ভদ্রতা এবং মহত্ব থাকে।
৬. বাস্তবতা
স্টিভেনদের মতে যাঁদের চোখের পাতা যত মোটা, স্পষ্ট এবং কোঁকড়ানো তাদের মধ্যে বিশ্লেষণাত্মক মনোভাব তত বেশি।
যাদের চোখের পাতায় কোনও ভাঁজ নেই তারা তত বেশি সিদ্ধান্তগ্রহনকারী।
৭. আকর্ষক
চোখের মণির রঙে যার গভীরতা বেশি তার আকর্ষণ ক্ষমতাও তত বেশি।
মেয়েদের মন বুঝার কৌশল
ছেলেদের, আদিকালের ‘অভিযোগ’। ছেলেরা প্রায়ই বলেন, ‘মেয়েদের মন বোঝা ভার’।
কেউ কেউ আবার একটু আগ বাড়িয়েই বলেন, ‘মেয়েদের মন বুঝতে পারলে পৃথিবীর সব বোঝা যাবে। কিন্তু এটা দুরহ!’
এ অভিযোগ পুরোপুরি সত্য হোক আর না ই হোক, বৈজ্ঞানিক ভাবে একটা জিনিস প্রমাণিত যে, মেয়েরা আসলে একটু বেশি আবেগ প্রবণ।
তাই তাদের কথায় বার্তায় একটা চাপা অনুভূতি লুকিয়ে থাকে। মেয়েদের অনেক সময়ই ‘হ্যাঁ’ কে না বলে এবং ‘না’ কে বলে হ্যাঁ।
ফলে কোন কথার কী মানে, সেটাই বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ‘সরল মনা’ ছেলেদের কাছে। তাদের মুখের কথায় চলতে গিয়ে হোঁচট খায় অনেক পুরুষ।
আসুন, আজ জেনে নেই সেসব কথার মধ্যে কয়েকটির প্রকৃত অর্থ…….
১) ‘আমার কিছু হয়নি’:
কোনো মেয়ে যদি বলে তার কিছু হয়নি, তাহলে জানবেন তার অনেক কিছু হয়েছে।
মেয়েরা এমন কথা তখনই বলে, যখন তারা অসম্ভব খেপে থাকে। তাই প্রথমেই কারণ জানতে চাইবেন না। আগে ঠাণ্ডা হতে দিন।
তারপর জিজ্ঞেস করুন দেখবেন গলগল করে বলে ফেলবে।
২) ‘বাদ দাও’ বা ‘ছাড়ো’:
এই বাদ দেয়া বা ছেড়ে দেয়া কিন্তু একেবারেই বাদ দেয়া বা ছেড়ে দেয়া নয়।
কোনও মেয়ে যদি এমন কথা বলে, জানবেন সেই বিষয়টি সে তখনো ছাড়েনি বা বাদ দেয়নি। এবং এটাও নিশ্চিত থাকুন ছাড়তে বেশ সময় দরকার।
৩) ‘ওয়াও’:
মেয়েদের সব ওয়াও কিন্তু ওয়াও হয় না। অনেক সময় তিরস্কার জানাতেও তারা ওয়াও বলে।
খালি ওয়াও বলার ধরনটা লক্ষ্য করতে হবে। তা হলেই বুঝে যাবেন পুরস্কার না তিরস্কার।
৪) ‘তোমার সঙ্গে কথা আছে’:
কোনও মেয়ে যদি এই কথা বলে, সতর্ক হয়ে যান। আপনার সঙ্গে অনেক পুরোনো হিসেবে নিকেশ করতে চায় সে।
৫) ‘গো অ্যাহেড’:
এই গো অ্যাহেডের অর্থ কিন্তু গো অ্যাহেড নয়। এর মানে, স্টপ। থেমে যান। মনঃপূত না হলে
এমন উলটো কথাই মেয়েরা বলে। ছেলেদেরও উচিৎ থেমে যাওয়া। এর কারণ একটাই।
পছন্দসই কাজ হলে মেয়েরা নিজে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে, বারবার প্রশ্ন করে অনেক কিছু জানতে চায়।
৬) ‘ভালো’:
তর্ক বিতর্কের সময় মেয়েরা বলে ভালো। এই ভালোর অর্থ ‘দারুণ’ নয়, এর অর্থ ‘এবার থামো’।
৭) ‘না’:
রাগের মুখে মেয়েদের ‘না’ মানেই ‘হ্যাঁ’। এই ধরুন, আপনার বান্ধবী আপনার সঙ্গে খুব রেগে আছেন।
এমন সময় আপনি বললেন, ‘আইসক্রিম খাবে?’ উত্তর আসবে, ‘না।’ ‘ফুচকা খাবে?’ ‘না , খাবো না।’
এমন সময় আর প্রশ্ন না করে সোজা কিনে আনুন ফুচকা, অথবা আইসক্রিম। রাগের মাথায় হাত থেকে কেড়ে নিয়েই খেয়ে নেবে।
শিখে নিন মন পড়া
ভয়
ভ্রূ-এর পেশি সঙ্কোচনের ফলে তার দৈর্ঘ্য দৃশ্যত হ্রাস পায়।
চোখের উপরের পাতা খুলে যায়, নীচের পাতা কুঁকড়ে যায়। ঠোঁটের দুই প্রান্ত বিস্ফারিত হয়।
আনন্দ
ঠোঁটে কেলে যায় চকিত হাসির রেখা। মুখের এই অংশে প্রধান জাইগোম্যাটিক পেশি ঠোঁটের দুই প্রান্তে টান ধরিয়ে উপর দিকে ঠেলে তোলে।
চোখের পাশের পেশি শক্ত হয়ে যাওয়ায় চামড়া কুঁচকে যায়। চোখের নীচের পাতা ফুলে ওঠে।
ক্ষোভ
এই ভাব হলে ভ্রু যুগল তুলনামূলক ভাবে গর্তে ঢুকে যায়। পেশি শক্ত হয়ে গিয়ে চোখের নীচের পাতা এবং নাকের উপরিভাগ কুঁচকে যায়।
লজ্জা
লজ্জা পেলে মানুষ সরাসরি কারও চোখের দিকে তাকাতে পারে না।
দৃষ্টি নিম্নগামী হয়। নীচের ঠোঁট চেপে বসে। উপরের ঠোঁটও অনড় হয়ে পড়ে।
বিস্ময়
অবাক হলে মানুষের ভ্রূ যুগল ধনুকের মতো বেঁকে যায়। ঠোঁট দু’টির মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।
ফ্লার্টিং
এই অবস্থায় মুখে হাসি খেলে যাওয়ার পাশাপাশি মাথাও একদিকে কাত হয়ে যায়।
দৃষ্টি সামনে নিবদ্ধ থাকে। ঠোঁটের দুই প্রান্ত চওড়া হয়। হনু উঁচু হয়ে ওঠে।
বিনয়
হাসিতে খানিক কৃত্রিমতা লক্ষ্য করা যায়। তবে চোখের আশেপাশে কোনো পরিবর্তন হয় না।
ঠোঁটের প্রান্ত দু’টি পেশি সঙ্কোচনের ফলে উপর দিকে উঠবার চেষ্টা করে।
ভালোবাসা
মনে প্রেমের ভাব উৎপন্ন হলে মুখে পরিতৃপ্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঠোঁটের দুই প্রান্ত শক্ত হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়।
নীচের ঠোঁট শক্ত হয়ে যায়। মাথা অল্প ঝুঁকে পড়ে।
মেয়েদের মন বোঝার নির্দিষ্ট কোন উপায় আছে কি
ছেলেদের একই কথা মেয়েদের বোঝা দায়। অনেকেই বলেন মেয়েদের মন বিধাতাও বুঝতে পারেন কিনা সন্দেহ।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি সত্যি হলেও সব ক্ষেত্রে কিন্তু সত্যি নয়। মাঝে মাঝে মেয়েদের মন বোঝা না গেলেও,
একটু বুদ্ধি থাকলে ঠিকই মেয়েদের ভালো ভাবেই বুঝে নেয়া সম্ভব। ছোটোখাটো ব্যাপারগুলোতে নজর দিলেই মেয়েদের অনেক ভালো বুঝে নেয়া যায়।
বুঝতে চান নারীকে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মেয়েদের সম্পর্কে কিছু তথ্য।
১) মেয়েরা নিজেরাও মাঝে মাঝে জানেন না তারা আসলে কী চান। সেই সময়ে তাদের হ্যাঁ এর সাথে হ্যাঁ মিলিয়ে চলাই ভালো।
২) মুড অফ, রাগ, দুঃখ, অভিমান যে ধরণের অনুভূতিই আপনার প্রেমিকা/স্ত্রীর মধ্যে কাজ করুক না
কেন একটু মিষ্টি সুরে আদুরে গলায় কথা বলুন এবং তাকে হাসানোর চেষ্টা করুন। আপনার প্রেমিকা/স্ত্রীর মন ঠিক হয়ে যাবে।
৩) কখনোই এবং কোনো মতেই নিজের প্রেমিকা/স্ত্রীকে অন্য একজন নারীর সাথে তুলনা করবেন না।
এই কাজটি মেয়েরা একেবারেই পছন্দ করেন না।
৪) কোনো মেয়ে যদি কোনো ছেলেকে পছন্দ করে থাকেন তবে তিনি তার কথায় এবং কাজে তার পছন্দ প্রকাশ করেন।
এবং মনে মনে চান ছেলেটি তা বুঝে নিয়ে তাকে বলুক।
৫) যদি কোনো মেয়ে তার স্বামী/প্রেমিকের সামনে তার ভালো ছেলেবন্ধুটির সাথে অনেক খোলাখুলি কথা বলা এবং
হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন তবে সন্দেহের কিছুই নেই। কারণ মেয়েটি শুধুমাত্র তাকে বন্ধু হিসেবেই কাজটি করেছেন।
৬) যদি দেখেন আপনার প্রেমিকা তার অন্য সকল প্ল্যান শুধুমাত্র আপনার সাথে দেখা করার
জন্য বাতিল করছেন তাহলে বুঝে নেবেন তিনি সত্যিই আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
৭) যে কারো অতীত থাকতে পারে। নারীরা অতীত নিয়ে বেশি ঘাঁটেন না কিন্তু আপনি
যদি আপনার পুরোনো প্রেমিকাকে ভুলতে না পারেন তবে কোনো মেয়েরই আপনাকে পছন্দ করবেন না।
৮) মেয়েরা অনেক কথা বলতে পছন্দ করেন,
যখন দেখবেন তিনি কথা বলা কমিয়ে দিয়েছেন তখন বুঝে নেবেন তিনি ভালো নেই।
৯) যখন দেখবেন আপনার প্রেমিকা আপনার বন্ধুদের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব তৈরি করে নিয়েছেন তখন বুঝে নেবেন তিনি সত্যিই আপনার কেয়ার করেন।
১০) আপনি যদি আপনার প্রেমিকা/স্ত্রীর কাছে কোনো ব্যাপারে পরামর্শ চান তবে তিনি অনেক বেশি খুশি থাকবেন।
কারণ তিনি মনে করবেন আপনি তাকে অনেক বেশি বিশ্বাস করেন বলেই পরামর্শ চেয়েছেন।
১১) মেয়েরা সারপ্রাইজ এবং উপহার পেতে খুব বেশি পছন্দ করেন তা তিনি যে মুডেই থাকুন না কেন।
১২) যখন মেয়েরা খুব ঠাণ্ডা মাথায় আপনাকে কোনো প্রশ্ন করেন তখন বুঝে নেবেন
সঠিক উত্তর তার জানা আছে, তিনি শুধুমাত্র আপনার মুখ থেকে সত্য/মিথ্যা জানতে চাচ্ছেন।
১৩) তার বলা কথা যদি আপনি মনে রাখতে পারেন তবে আপনি খুব সহজেই নিজের প্রেমিকা/স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারবেন।
১৪) যদি কোনো মেয়ে আপনাকে বলেন তিনি আপনার কথা তার বন্ধুদের বলেছেন তাহলে বুঝে নেবেন সে আপনার প্রতি দুর্বল।
১৫) অনেকেই বলেন মেয়েরা বলেন না কিন্ত মনে মনে বুঝে নিতে বলেন। এই বিষয়টি ছেলেরা অপছন্দ করেন।
ছেলেরা ভাবেন মেয়েটি মনের কথা নিজে নিজে বুঝে নিতে বলছেন। আসলে ব্যাপারটি ঠিক উল্টো। মেয়েরা চান না ছেলেরা আপনাআপনি কথা বুঝে নিন,
তারা আসলে চান ছেলেরা তাদের প্রশ্ন করে তার মনের কথা জেনে নিক।
0 মন্তব্যসমূহ