করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা না হওয়ায় ফরম পূরণের আংশিক টাকা ফেরত পাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা
আজ মঙ্গলবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষার্থীদের এ টাকা বিতরণ শুরু হচ্ছে। গতকাল সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ জমাকৃত অর্থের চেক বোর্ডের হিসাব শাখা (১ নং ভবনের ৩ তলা, কক্ষ নং-২০৮) থেকে বিতরণ করা হবে। শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা তাঁর প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষককে (স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ) কেন্দ্রের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই চেক অফিস চলাকালে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলে আবেদনপত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি বা জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর থাকতে হবে। চেক গ্রহণের পর তাতে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে হিসাব শাখা থেকে সংশোধন করে নিতে হবে।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ১৫৮তম সভায় শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নের ফল প্রকাশের দিন শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলআপের চেক গ্রহণের তারিখ ৯ মার্চ ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলা। ১০ মার্চ ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলা। এ ছাড়া ১৯ মার্চ ঢাকা মহানগরে দেওয়া হবে।
🙋কত টাকা ফেরত পাবেন শিক্ষার্থীরা🙋
ফরম পূরণ করা পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে উল্লেখ থাকা প্রতিপত্রের (এক বিষয়ে দুই পত্রও হয়) জন্য বোর্ড–নির্ধারিত ফি থেকে পত্রপ্রতি (তত্ত্বীয়) ৩০ টাকা করে এবং ব্যবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে পত্রপ্রতি আরও ১০ টাকা করে ফেরত দেওয়া হবে। আর কেন্দ্র ফি থেকে পরীক্ষাপ্রতি ২০০ টাকা করে এবং তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আরও ২৫ টাকা করে ফেরত দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রবেশপত্রে উল্লেখ থাকা (আইসিটি বাদে) সব ব্যবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে পত্রপ্রতি আরও অতিরিক্ত ৪৫ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিতে হবে।
অন্যদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের ১০ শতাংশ এবং আইসিটি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য আদায় করা ফি থেকে পরীক্ষার্থীপ্রতি ২০ টাকা ফরম পূরণ ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে। আর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষার্থীপ্রতি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে ১৬০ টাকা হারে দেবে। কেন্দ্র এই টাকা পরীক্ষার গোপনীয় কাগজ পরিবহন ও বোর্ডে জমা, সংরক্ষণ এবং প্রশাসনিক কাজে ব্যয় করবে।
সারা দেশে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন আর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষা বোর্ডে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।
0 মন্তব্যসমূহ